জয়পুরহাট প্রতিনিধি:
প্রেম মানে না কোন বাঁধা। তাইতো প্রেমের টানে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে জয়পুরহাটের ক্ষেতলালেপ্রেমিক আব্দুল্লাহ হেল আমান(৩৮) এর কাছে ছুটে এসেছেন ফিলিপাইন তরুণী আনা মারিয়া ভেলাস্কো (৩৯)।
রোববার সকালে প্রেমিক আব্দুল্লাহ হেল আমানের ভাড়া বাসা ক্ষেতলাল পৌর মহল্লার সদর এলাকায় চলে আসেন তিনি। ফিলিপাইনের যুবতী ক্ষেতলালে আসার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নবদম্পতিকে দেখতে ওই বাড়িতে উৎসুক জনতার ভিড় জমে।
জানা গেছে, ফিলিপাইন যুবতীর প্রেমিক আব্দুল্লাহ হেল আমান উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের মিনিগাড়ী গ্রামের সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মৃত শারফুল ইসলাম তালুকদারের বড় ছেলে। গত ০২ বছর পূর্ব হইতে ফিলিপাইন নাগরিক আনা মারিয়া ভেলাস্কো’র সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারই ধারাবাহিকতায় বিবাহের উদ্দেশ্যে বিমান যোগে গত ০২ (সেপ্টেম্বর) শনিবার শাহাজালাল আন্তজার্তিক বিমান বন্দরে পৌঁছায় ফিলিপাইন ওই যুবতী। সেখান থেকে প্রেমিক আব্দুল্লাহ হেল আমান গাড়ী যোগে রবিবার সকালে ফিলিপাইন ওই মেয়েকে নিয়ে ক্ষেতলাল পৌরসভার সদরে ভাড়া বাসায় পৌঁছায়। পরে বাদ যহর দুজনে ইসলামিক শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহের সময় ওই মেয়ের নতুন নাম মরিয়ম আমান রাখা হয়।
প্রেমিক আব্দুল্লাহ হেল আমান বলেন, আমাদের দুজনার মধ্যে দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। সে খ্রিস্টান ছিলো কিন্তু গত তিন বছর পূর্বে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেছে। সৌদি আরব চাকুরী করতো সেখান থেকে ভালোবাসার টানে
আমাকে বিবাহের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে চলে আসে। আমরা শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ করেছি।
এ বিষয়ে ফিলিপাইন যুবতী আনা মারিয়া ভেলাস্কো বলেন, আমি নিজ ইচ্ছায় প্রেমের টানে আব্দুল্লাহ হেল আমান কে বিবাহের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে এসেছি। বিবাহ করেছি তার পরিবারও আমাকে মেনে নিয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি।
প্রতিবেশী শিক্ষক আব্দুল হান্নান বলেন, সৌহার্দ্য আমার ছাত্র ছিলো। আজ যখন তার প্রেমের এই ঘটনা জানতে পারি। ফিলিপাইন এক মেয়ে তার বাসায় এসেছে। আমরা প্রতিবেশীরা ইসলামিক শরিয়ত মোতাবেক তাদের বিবাহ দিয়ে দিয়েছি।
ক্ষেতলাল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফিলিপাইন নাগরিক আনা মারিয়া ভেলাস্কো কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সে জানিয়েছে নিজ ইচ্ছায় বাংলাদেশে এসেছে। তার পাসপোর্ট-ভিসাও ঠিক রয়েছে।
Leave a Reply